
বার্তা কক্ষ: দেশে আবারো করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। বহুদিন দৈনিক শনাক্তের হার দুই বা একের নিচে থাকার পর এখন সেই হার তিন ছুঁইছুঁই করছে। শনাক্তের সংখ্যাও থাকছে পাঁচশ’র ঘরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে আবদ্ধ পরিবেশ ও বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান আর মানুষের ঘোরাফেরা বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত করোনা সংক্রমণ বাড়ছে।
তাই, এখন সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় না আনলে এবং ঠিকঠাক স্বাস্থ্যবিধি না মানলে মার্চ নাগাদ পরিস্থিতি ভয়াবহ হবার আশঙ্কাও জানিয়েছেন তারা। গেলো আগস্ট থেকে কমতে থাকা আক্রান্তের হার অক্টোবরের শেষে নেমে আসে এক শতাংশে। প্রায় দুই মাস পর সেই রেখা আবার কিছুটা উয়েফাকাপ।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দুই শতাংশ থাকছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটাও গেলো তিনদিন যাবত পাঁচশর কাছাকাছি। রোববার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিন জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে তার আগের সপ্তাহের তুলনায় সংক্রমণ বেড়েছে ৬০ শতাংশ।
তিনি আরো জানান, নভেম্বরে দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৭৪৫ আর ডিসেম্বরে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ হাজার ২৫৫।করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে। শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
আর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, বর্তমানে করোনার উর্ধ্বমুখী ধারা সহনশীল হলেও, আগামী মার্চে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয়ে উঠতে পারে।শীতকালে আবদ্ধ পরিবেশ থাকা, সামাজিক অনুষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া আর মানুষের ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করছেন তারা। তাই, পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠার আগেই সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরামর্শ তাদের। সেই বয়স্কদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে হবে।
করোনা টিকার করোনার মৃত্যুহার কমাবে, কিন্তু নিজেকে এবং অন্যকে সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক পরার কোন বিকল্প নেই বলেও সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সুত্র – ৭১ টিভি