
পেকুয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মহিলাসহ দু’জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের পশ্চিম টৈটং আলেগদিয়াকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, একই এলাকায় আবু জাফরের মেয়ে মোছাম্মৎ শারমিন ইয়াসমিন (১৯) ও ছেলে মো.কামরুল হাসান (১৮) স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী শাহেনা বেগম, জাহানারা বেগম, তাহেরা বেগম, জমির ও আমিন জানান, দীর্ঘ দিন ধরে একই এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে আবুল কাশেম গং ও আবু জাফর গং এর মধ্যে বসতভিটে ও পুকুর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছে।
আবুল কাশেম গং বিভিন্ন সময় তাদের মারধরের হুমকি ও বসতভিটে জবর দখলের চেষ্টা চালায়। এরই জের ধরে ঘটনার দিন সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পুকুরে মাছ আহরণকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আবুল কাশেম ও তাঁর ছেলে আনোয়ার হোসেন, বাচ্চু এবং তাঁর দুই মেয়ে ফাতেমা ও জুলি আক্তার দা, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে কামরুল হাসানকে আঘাত করে। আনোয়ারের হাতে থাকা লোহার রডের আঘাতে মাটিতে পড়ে যায় কামরুল।
হামলার শিকার কামরুলের শোর-চিৎকার শুনে তার বোন শারমিন ইয়াসমিন ছুটে আসলে তাকেও পিটিয়ে শ্লীলতাহানী করে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করা হয়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে আবুল কাশেম, আনোয়ার, বাচ্চু, ফাতেমা ও জুলি আক্তার।
পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহতদের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, সকালে আমার ছেলে কামরুল হাসান পুকুরে জাল নিয়ে মাছ আহরণে গেলে আবুল কাশেম তাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে আবুল কাশেম, আনোয়ার, বাচ্চু, ফাতেমা ও জুলি আমার ছেলেকে মারধর করে।
আমার ছেলে হাসানের চিৎকার শুনে মেয়ে শারমিন এগিয়ে যায়। তখন আবুল কাশেম গং আমার মেয়েকেও মারধর করে। পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার বলেন, ভিকটিমের পরিবারের পক্ষে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।