
বার্তা কক্ষ: কক্সবাজারের সাগরের বুক ছুঁয়ে নামবে বিমান। সেজন্য কক্সবাজার বিমান বন্দর রানওয়ের সমুদ্রে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। রোববার সেই কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্মাণ শেষ হলে কক্সবাজার বিমানবন্দরে ওঠানামা করবে আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ। কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে তৈরি হচ্ছে সমুদ্র ছুঁয়ে।
সমুদ্রের নোনা জলের ঠিক ওপরেই উড়োজাহাজটি অবতরণের প্রস্তুতি নেবে। পরে, সাগরের বুক ছুঁয়ে নামবে বিমান। নতুন ১৭০০ ফুটসহ এই বিমানবন্দরের রানওয়ে হবে ১০ হাজার ৭০০ ফুট, তাই দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে সমৃদ্ধ বিমানবন্দর হবে কক্সবাজার।
যার ফলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের বড় আকারের উড়োজাহাজ এই বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারবে এবং এর ফলে এখানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করার পথ সুগম হবে। গোটা রানওয়ে জুড়ে থাকবে সেন্ট্রাল লাইন লাইট, তাছাড়াও সমুদ্র বুকের ৯০০মিটার পর্যন্ত হবে প্রিসিশন এপ্রোচ লাইটিং।
সমুদ্রে রানওয়ে সম্প্রসারণ পরিবেশের উপর বিরুপ কোনো প্রভাব ফেলবেনা বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান। এই বিমানবন্দর শুধু পর্যটন নয়, যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক বিকাশে রাখবে যুগান্তকারী ভূমিকা, বলছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৯ আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রানওয়ের সমুদ্রে বর্ধিতকরণ কাজের উদ্বোধন করবেন। এক হাজার ৫৬৮.৮৬ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি ২০২৪ সালের মে মাসে শেষ হবে। ২০১৮ সালের চার নভেম্বর সরকার প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়।