
আগামী দেড় মাসে দেশে আরো পৌনে দুই কোটি করোনার টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকা কর্মসূচি পরিদর্শন শেষে আজ এ তথ্য জানান।তিনি জানান, আগস্ট মাসে ফাইজারের আরো ৬০ লাখ টিকা দেশে আসবে।
এছাড়াও একই মাসে চীনের সিনোফার্ম ও অক্সফোর্ড-অ্যস্ট্রাজেনেকার টিকাও পাওয়া যাবে। সরকারের কেনা এবং কোভ্যাক্স এর আওতায় এসব টিকা আসবে বলে জানান জাহিদ মালেক। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ সচেতন না হলে এই সংক্রমণ কোনভাবেই কমানো সম্ভব না।
করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় ৫ ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির জন্য জায়গা বাছাইয়ের কাজ চলছে। ঢাকা ছাড়াও বিভিন্ন জেলায়ও হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার।দেশে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরো ১০ কোটি ডোজ করোনার টিকা আসবে।
বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সংসদকে আরো জানান, এছাড়াও আগামী বছরের মাঝামাঝি আসবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান জনসন এন্ড জনসনের ৭ কোটি ডোজ টিকা।অধিবেশনে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর ছাঁটাই প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শুক্রবার কিংবা শনিবারের মধ্যেই কোভ্যাক্সের আওতায় ২৫ লাখ করোনার টিকা দেশে এসে পৌঁছাবে।
এছাড়া, চীন থেকে ২০ লাখ কেনা টিকা আসবে আগামী সপ্তাহেই।গত ৩০ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় ডিসেম্বরের মধ্যে আরো ১০ কোটি ডোজ করোনার টিকা আসবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশ পাবে প্রায় আরো ৬ কোটি টিকা।
আর চীনের সিনোফার্ম থেকে দেড় কোটি টিকা বাংলাদেশ কিনবে এ সংক্রান্ত চুক্তিও হয়েছে।আগামী বছর নাগাদ সারাদেশে ৮০ ভাগ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে বলেও জানান জাহিদ মালেক।