
গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় পুলিশ ও শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশের পক্ষ থেকে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনায় নিহতের প্রতিটি পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শনিবার রাতে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের সমন্বয়কারী আদিল বিল্লাহ আদিল। তিনি বলেন, “শ্রমিকদের যে সব দাবি ছিল তা অনেকটা মেনে নেওয়া হয়েছে। তারপরেও তারা পরিকল্পিতভাবে চীনা নাগরিকদের ওপর হামলা এবং প্রকল্পের মালামাল পুড়িয়ে দেয় এবং লুটপাট চালায়। এটা একটা সরকারি সম্পত্তি।
স্থানীয় জনগণের ইন্ধনে চীনা নাগরিকদের ওপর হামলা ঠেকাতে প্রশাসন এব্যবস্থা নিয়েছেন।” এ ব্যাপারে প্রশাসন সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান বলেন, “ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তারকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কবির আহম্মেদ, কল-কারখানা অধিদফতর চট্টগ্রামের লেবার পরিদর্শক মাসুদ রানা, বিদ্যুৎ বিভাগ চট্টগ্রামের সহকারী প্রধান প্রকৌশলী অভিজিৎ কুরি।কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “পাঁচজন নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেনকে।
এছাড়া অন্য দুই সদস্য হলেন, পুলিশ সুপার নেছার আহমেদ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কবির হোসেন। কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।”
এদিকে গন্ডামারা এস.এস পাওয়ার প্ল্যান্টে পুলিশ শ্রমিক সংঘর্ষের ঘটনার সাথে লেয়াকত আলী চেয়ারম্যানের নাম জড়িয়ে অরাজনৈতিক বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইন্স্যুতে পরিণত করতে একটি মহল সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন বলে দাবি একটি মহলের।
তাদের মতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে লেয়াকত আলীকে সাথে নিয়ে শ্রমিকদের ন্যার্য অধিকার আদায়, নিহত শ্রমিকদের যথাযথ আর্থিক ক্ষতিপূরণ, আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা এবং শ্রমিক আইন বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা উচিত বলেও মহলটির অভিমত।