
চট্টগ্রাম শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ডিটি রোড। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়তের পাশাপাশি বন্দরের মালামাল পরিবহন ছাড়াও কদমতলী এবং শুভপুর বাস স্টেশনের গাড়ি গুলো চলাচলের অন্যতম ভরসা দেওয়ানহাট টু অলংকার পর্যন্ত ৫কিলোমিটারের এই ডিটি রোড।
নতুন সড়কে চলাচলের এক পযার্য়ে সড়কের স্থায়িত্ব হারাতে থাকে, পরে সংশ্লিষ্ট রা সংস্কারের মাধ্যমে সড়কের অবস্থান পুনরায় ফিরিয়ে আনে।তবে সেক্ষেত্রে দেওয়ানহাট থেকে অলংকার (ডিটি রোড) পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারের এই সড়কে ,সঠিক নজরদারি ,ফুটপাত দখল এবং সংস্কারের গড়িমসির কারনে, বেহাল অবস্থায় পরিনত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায় যে, ১২ নং ওয়ার্ডে রুপসা বেকারির সামনে,কাঁচা রাস্তা থেকে আবুল বিড়ির মোড়, সিটি ব্যাংক এর সামনে থেকে লাকি হোটেল এর মোড়,(১২ নং ওয়ার্ড কমিশনার অফিস এর সামনে),হাজী ক্যাম্প থেকে হাক্কানি পেট্রোল পাম্প এর সামনে,যোলা পাড়া থেকে অলংকার মোড় পর্যন্ত সড়কটি অতিরিক্ত ভাঙা এবং গর্ত। যা এলাকার জনসাধারণের জন্য ভোগান্তির পাশপাশি প্রতিদিন দূর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে।
তাছাড়া এই রোড এর দুই পাশের ফুটপাত দখল হয়েছে আগে থেকেই । এখন কাজ চলছে ফুটপাতের। একদিকে কাজ চলছে ফুটপাতের অন্যদিকে দখল হচ্ছে আবারও । দেওয়ানহাট থেকে অলংকার (ডিটি রোড) পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারের এই সড়কের ফুটপাত দখল হওয়ায় পথচারীরা রাস্তার উপর হাঁটতে হয় ফলে প্রতিদিন কোন না কোন দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে ।
তাছাড়া রাস্তার উপর বিশেষ করে পাহাড়তলি বাজার এবং মনছুরাবাদ এ প্রতিনিয়ত ট্রাক মিনি ট্রাক দারিয়ে রাখাতে যানজট লেগেই থাকে । বারকোয়াটার সহ বিভিন্ন জায়গায় গাড়ির গ্যারেজ আছে অনেকগুলি । এই গ্যারেজ এর মুল কাজ করা হয় ফুটপাত ও রাস্তার উপর ।
ঈদগা ওয়াপদা কলোনির দুই পাশেই ফুটপাত দখল করে বিক্রি হচ্ছে ফার্নিচার । প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে বছরের পর বছর এই ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করে আসছে । এগুলি দেখভাল করে এলাকার কিছু নেতারা । নাম না বলা ঐখানের এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী বলেন , আমারা প্রতি মাসে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করি । কাকে টাকা দেওয়া হয় জানতে চাইলে তিনি জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
দেওয়ানহাট এলাকার এক বাসিন্দা বলেন,আমি এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অফিসে যাতায়াত করি। শহরের অন্যান্য সড়কে নিয়মিত সংস্কারের কাজ চললেও ডিটি রোডে হয়না এই সড়ক জুড়ে চলাচল করে বন্দরের বড় বড় লরি। এই ধরনের ভারি লরি চলার কারণে রাস্তার উপর বাড়তি চাপ তৈরি করে, যা পরবর্তীতে যান চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি করে। তাছাড়া দুই পাশের ফুটপাত দখল হওয়ায় পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে মুল রাস্তা দিয়ে চলতে হয়।
এ ব্যাপারে ১২ নং ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন, রাস্তার এমন অবস্থার জন্য বড় বড় মালবাহী ট্রাক/ লরি গুলো দায়ি, এবং এরই সাথে ওয়াসার কর্মীরা তাদের কাজ করার পর তা পুনরায় সংস্কার না করার কারণে সড়কটির অবস্থা এখন আরো খারাপ হয়ে যায়।
অত্র এলাকার আরেক বাসিন্দা জানান ,অনেকদিন যাবৎ রাস্তাটির এ অবস্থা কিন্তু সড়কটি সংস্কারের কাজে এখনো কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায় নি।দিনের পর দিন আরো খারাপ অবস্থায় পরিনত হচ্ছে রাস্তাটি। যার ফলে অল্প বৃষ্টিতে সড়কটি কাদা যুক্ত হয়ে যায় তাছাড়া দুই পাশের ফুটপাত দখল হওয়ায় আমাদের মতো জনসাধারণের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।