
নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
আজ শনিবার দেশের নদ-নদীর পূর্বাভাসে সংস্থাটি জানিয়েছে, মৌসুমী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে আগামী ৩ দিন পর্যন্ত দেশের সকল প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তবে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
এ ছাড়া আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৬ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এর মধ্যে আগামী ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর সারিয়াকান্দি ও কাজিপুর পয়েন্টে এবং ৪৮ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রমের শঙ্কা রয়েছে। আর ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কুশিয়ারা, সমেশ্বরী ও ভোগাই-কংস নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি স্থিতিশীল ও বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করতে পারে। তবে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত অথবা স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং বিপদসীমার উপরে অবস্থান করতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।
পূর্ভাবাসে বলা হয়েছে, দেশের ১০১টি পানি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৭৮টিতে পানি বাড়ছে এবং ২৩টিতে কমছে। এর মধ্যে ৯টি স্টেশনে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
৯টি স্টেশনের মধ্যে ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম পয়েন্টে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং চিলমারী পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, যমুনার পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, সুরমার পানি কানাইঘাটে ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, কুশিয়ারার পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, জাদুকাটা পানি লরেরগড় পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।