
বার্তা কক্ষ :
করোনা আতঙ্কে চমেক হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে। আগে যেখানে ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুন বেশী রোগী থাকতো,সেখানে বর্তমানে রোগীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানান, হাসপাতাল কতৃপক্ষ। তবে রোগী কম হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা পেয়ে সেবা প্রার্থীরাও খুশি। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে এখনো পর্যন্ত কোন করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়নি।
২৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে চমেক হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। যেখানে মেঝেতেও রোগী পড়ে থাকতে দেখা যেত, সেখানে এখন অর্ধেকেরও বেশী সিট খালি।
হাসপাতালে যেখানে প্রায় সময় সাড়ে ৩ হাজারের বেশী রোগী ভর্তি থাকতো সেখানে বর্তমানে ভর্তি আছে ১৩৬৬ জন রোগী।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য প্রস্তুত কোভিড-১৯ ওয়ার্ডে এখনো রোগী না আসায় তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়।
রোগীর সংখ্যা কম থাকায় চিকিৎসা সেবা আগের তুলনায় ভাল বলে বলে জানান, রোগীর স্বজনরা।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির জানান, করোনা নিয়ে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে যতেষ্ঠ সচেতনতা সৃষ্টিহয়েছে। রোগী ভর্তিও আগের তুলনায় অনেক কম।
প্রাইভেট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক অর্নাস অ্যাসোসিয়েশন-চট্টগ্রাম আজ নগরীর এক হসপিটালে আয়োজিত সভায় করোনায় আক্রান্তদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাসহ সাধারণ রোগীদের সেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।
সিভিল সার্জন ডা.শেখ ফজলে রাব্বী জানান, এখনো পর্যন্ত চট্টগ্রামে কোন পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়নি।